নাদিম হোসেন খাঁন, (ভোলা) চরফ্যাশন
(Last Updated On: )ইলিশের প্রজনন মৌসুম সুরক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে বৃহস্প্রতিবার মধ্যরাত থেকে। সারা দেশের নদ-নদী থেকে ইলিশ আহরণ, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহনে সরকার ২২ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য অধিদপ্তর।
ভোলার মেঘনা তেতুঁলিয়ায় ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে সাগর ও নদী থেকে ফিশিংবোট, ট্রলার, নৌকা ও মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম নিয়ে ঘাটে অলস সময় পার করছেন চরফ্যাশনের মৎস্যজীবীরা। মৌসুমের শুরু থেকে উপকূলে ইলিশের নাগাল না পেয়ে হতাশায় ছিলেন, শেষ মুহূর্তে নদীতে ইলিশের দেখা মিললেও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ইলিশ শিকার বন্ধের সময় পরিবার নিয়ে কীভাবে দিনগুলো পার করবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
চরফ্যাশনের ঘোষের হাট ও সামরাজ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে দল বেঁধে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। তীরে নোঙর করে ফিশিংবোট, ট্রলার থেকে ইঞ্জিন, জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিরাপদ স্থানে রেখে দিয়েছেন।
মাঝিরা জানান, ভরা মৌসুমে ইলিশের পরিমান কম ছিলো এখন কিছুটা ধরা পড়লেও এখন সরকার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম উঠিয়ে নিয়েছেন তাড়া।
বাচ্চু মাঝি বলেন, ‘মা ইলিশের অভিযানে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকতে সাগর থেকে ফিরে এসেছেন। অভিযানের পরে আবারও সাগরে ইলিশ শিকার করতে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেন মিনার জানান, ২২ দিনের মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞাকে সফল করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। নিষেধাজ্ঞার কঠোর করার জন্য সকল প্রস্তুত গ্রহণ করেছি। যারা সরকারি আইন অমান্য করে নদীতে গিয়ে মাছ শিকার করবে তাদের জেল ও জরিমানা করা হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি চাল দ্রুত বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।