নাফ নদীতে বিজিবি-বিজিপির যৌথ টহল

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের মধ্যখানে বয়ে যাওয়া নাফ নদীতে অপরাধ দমনে বিজিবি-বিজিপির যৌথ টহল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজিবি জানায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত কার্যকরীভাবে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সব প্রকার প্রটোকল মেনে সীমান্তের শূন্য লাইনে নাফ নদীতে বিজিবি-বিজিপি পর্যায়ে যৌথ টহল পরিচালনা করা হয়। উক্ত যৌথ টহলে ১২ সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি টহল দলের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং বিজিপির ১২ সদস্যের টহল দলের নেতৃত্ব দেন পুলিশ লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো, অধিনায়ক, নম্বর (১) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ, মিয়ানমার।

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ২০২২ সালের জুলাই মাস হতে মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে উভয় দেশের মধ্যে যৌথ টহল বন্ধ ছিল; যা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিরূপ প্রভাব ফেলছিল। এরই প্রেক্ষিতে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ঐকান্তিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এবং গত ৩০ অক্টোবর ২০২২ বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে উভয় দেশের সম্মতিতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারির লক্ষ্যে এই যৌথ টহল শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। মঙ্গলবার উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করে।

লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, যৌথ টহল পরিচালনার ফলে নাফ নদীতে যেসব দ্বীপ বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর অবস্থিত এবং যেসব দ্বীপ চোরাকারবারি অথবা দুষ্কৃতকারী দলের অভয়াশ্রম হিসেবে ব্যবহার হতো, তাতে স্ব স্ব সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

ভবিষ্যতেও দুটি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান থাকবে। উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এই যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান রাখার মাধ্যমে নিজস্ব সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Facebook Comments Box