না ফেরার দেশে একই পরিবারের দগ্ধ ৫ জন

চিকিৎসার কোনো ত্রুটি ছিল না। তারপরও ওদের বাঁচানো গেল না। একে একে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঢাকার ধামরাই পৌরশহরের ইসলামপুর এলাকার একটি আবাসিক ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের দগ্ধ একই পরিবারের ৫ জন।

মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোছাম্মাৎ হোসনে আরা (২০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ছিলেন ওই পরিবারের দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে সর্বশেষ সদস্য।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের দগ্ধ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হওয়ার পর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে সেখানেই চারজন মৃত্যুবরণ করেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, ঢাকার ধামরাই থেকে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়ে এখানে এসেছিলেন। এর আগে তার স্ত্রী, মেয়ে ও তার ভাতিজি মারা যায়। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় একে একে পাঁচজনই মারা গেলেন।

মৃত হোসনে আরার স্বজন সাদ্দাম জানান, ৭ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার কৃষ্ণনগর গ্রামে।

৭ জানুয়ারি ভোর ৫টার দিকে ঢাকার ধামরাই পৌর শহরের কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। পাইপের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গেছে।

দগ্ধদের জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন- গার্মেন্টকর্মী মঞ্জুরুল (৩২), তার স্ত্রী জোসনা (২৫), তাদের দেড় বছরের মেয়ে মরিয়ম, স্ত্রীর বড় বোন হোসনা (৩০) এবং ভাগ্নি সাদিয়া (১৮)।

দগ্ধ মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। তারা এ বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন প্রতিবেশীরা।

Facebook Comments Box