নিরাপদ খাদ্য কিভাবে নিশ্চিতে স্বাস্থ্য বিভাগকে হোটেল ও স্ট্রিট ভেন্ডরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সবাই মিলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার সবাই খাই। কম-বেশি খাওয়া পড়ে। ফলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।
সোমবার রাজধানী গুলশান-২ নগর ভবনের ৬তলায় হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা কেবল লাইট বা রাস্তা দিয়ে নির্মাণ সম্ভব নয়; নিরাপদ খাদ্যেরও প্রয়োজন। খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনা বাড়াতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আগামী দুই মাস জনসচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবেন বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, অনেক বাংলাদেশি বিদেশের মাঁটিতে সফলভাবে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করছেন।’ বিদেশে সম্ভব হলে এই দেশেও সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকদের ব্যবসার সঙ্গে আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, খাদ্যের ব্যবসা করে নিজে একদিনও খাবার খাবেন না তা হতে পারে না। তাদের সাক্ষণিক তদারকি করতে হবে। তিনি বিজিএমইএ’র উদারহরণ টেনে বলেন, ‘অবহেলিত গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেমন নিজেদের সুশৃঙ্খলতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে তেমনি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা সচেতন হলে এই সেক্টরটিও প্রতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করবে।
এসময় পঁচা-বাসি খাবার বিক্রির সংস্কৃতি থেকে বেড় হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের স্বার্থে কাজ করার আহবান জানান ডিএনসিসি মেয়র। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমানের সঞ্চালনায় ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সবারবাংলা/এসআই