পোষ্য পুত্রকে বিয়ে করলেন স্কুল শিক্ষিকা

চরফ্যাশন প্রতিনিধি

পোষ্য পুত্রকে গোপনে বিয়ে করেছেন ৩১ নং উত্তর শশীভুষণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগম। ঘটনাটি দীর্ঘ ২২ বছর গোপন থাকলেও তার ছেলে নাইমের দায়ের করা ১টি ফৌজদারী মামলায় প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে ইদ্রিস মাঝির মেয়ে নাজমা বেগম ২২ বছর পুর্বে লালমোহন উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের রাঢ়ী বাড়ীর আবুল বশার নামক ১৬ বছর বয়সী ছেলে হিসেবে পালন করতেন। এ সময় নাজমা বেগমের স্বামী মোসলেউদ্দিন এলাকায় তাদেও আপত্তিকর বিভিন্ন গুঞ্জনের প্রতিবাদ করলে নাজমা বুকের তার দুধ জনসমক্ষে খাইয়ে আবুল বশারকে দুগ্ধ পোষ্য পুত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গোপনে নাজমা বেগম নোটারী পাবলিক বা এফিডেফিট করে মনকুহে আবুল বাশারকে বিয়ে করেন। এ ঘটনার পর নাজমার স্বামী মোসলেউদ্দিন মানষিকভারসাম্যহীন হয়ে শশীভুষণ বাজার এলাকায় বিবস্্র জবিনযাপন করেন। ইতিপুর্বে মোসলেউদ্দিনের কর্কট রোগ দেখা দেয়।

চিকিৎসাহীনতার কারনে মোসলেউদ্দিন মানবেতর জীবনযাপন ও কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন বছর পর আবুল বশার নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে ৮ বছর পুর্বে ঢাকায় এক সেবিকাকে বিয়ে করে সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করেন। নাজমা বেগম তার স্বামী মনকুহে আবুল বশারকে ফিরে পেতে ঢাকার বাসায় গিয়েও স্বামীর অধিকার পেতে চাপ প্রয়োগ করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এলাকাবাসী নাজমা বেগমকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আবুল বশারকে ছেলে হিসেবেই পরিচয় দেন।

সম্প্রতি নাজমা বেগমের ছেলে নাইম( ২৩) তাদের বাড়ির দরজা মসজিদের জমি দখলের বিষয় নিয়ে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে চরফ্যাশন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এমপি নং ২১৬/২১ দায়ের করলে সেখানে পোষ্য পুত্র আবুল বশারকে স্বামী হিসেবে প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ নাজমাকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতে শোনা গেছে।
স্থাণীয় শাহাদাৎ হোসেন ছাদু খলিফা, মোজাম্মেল হক ও শফিক হাওলাদার জানান, ২২ বছর আগে আবুল বাশারের এ বাড়িতে যাতায়াত ও অবস্থান নিয়ে সমাজে কথা উঠলে মোসলেউদ্দিন ৩৫ বছর বয়সী নাজমাকে চ্যালেঞ্জ করে। নাজমা আবুল বশারকে পুত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আমাদের সামনে বুকের দুধ নামিয়ে গøাসে করে খাইয়েছে। ২২ বছর পর দুগ্ধ পোষ্য পুত্রকে কিভাবে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে ৩১ নং উত্তর শশীভুষণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদ কমিটির লোকজনই আমার বিরুদ্ধে সমাজে কুৎসা রটাচ্ছে। মসজিদ কমিটি সহ এলাকার মুসল্লিদের দাবী এটি ইসলাম পরিপন্থী বিয়ে তাই এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করলে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমতে পারে।

সবারবাংলা/এসাআই

 

Facebook Comments Box