বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বা খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। গত রোববার সকাল ৮টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩১৫ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘বিপজ্জনক’ অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে অত্যাধুনিক মেশিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানো শুরু করেছে। সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে গতকাল সকালে বনানী নেভি গেইট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১। এটি বিমানবন্দর, উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড, মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় স্মরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দুটি স্প্রে ক্যানন ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দুটি ভাগে ভাগ করে একদিন অন্তর অন্তর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এমন দুটি মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে।
এ গাড়িতে মূলত বায়ুদূষণ কমাতে স্প্রে করে পানি ছিটানো হয়। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টাব্যাপী স্প্রে করতে পারে। এছাড়া রাস্তা ভেজানোর জন্যও রয়েছে স্প্রিং লেয়ার সিস্টেম। মকবুল হোসাইন জানিয়েছেন, মহাসড়ক ছাড়াও ডিএনসিসি এলাকার অন্যান্য সড়কগুলোতে ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার (পানি ছিটানোর মেশিন) দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার পানি ছিটানো হয়। শীতকালে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানি ছিটানোর কাজ চলমান থাকবে। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নির্মাণাধীন সড়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশি পরিমাণ পানি ছিটানো হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য সংস্থা এবং মেট্রোরেল, বিআরটি, এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য চলমান প্রকল্প ও যেকোনো ভবন নির্মাণের সময় ধুলাবালি সৃষ্টি হয়ে যেন বায়ু দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি না হয় সেজন্য সমন্বয় সভায় নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।