সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পল্টন থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। ২৫ এপ্রিল পল্টনে জেলা বিএনপির বৈঠক শেষে বের হওয়ার পর কস্তুরি রেস্টুরেন্টের সামনে মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করা হয়।এ ঘটনায় স্থানীয়রা জুয়েল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।পরে জুয়েলের মোবাইলে কল লিস্ট ও তার দেয়া তথ্যে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাগর সিদ্দিকিকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় মামুন মাহমুদের স্ত্রী বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করলে মামলায় জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৭ এপ্রিল তিনদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

রিমান্ডে জুয়েল গিয়াসউদ্দিনের ছেলে রিফাতের নাম বলেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।সেই সূত্র ধরে তাকে আটক করতেই এ অভিযান বলে জানা যায়।

একাধিত সুত্র জানায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিচ্ছেন জুয়েল। মামুন মাহমুদকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত হিসেবে পুলিশের তদন্তে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছোট ছেলে গোলাম মো. কাউসার ওরফে রিফাতের নাম আসে তদন্তে।

রিফাতের হয়ে খুনি ভাড়া করেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফতুল্লার বাসিন্দা মো. হৃদয়। আর হামলাকারী মো. জুয়েল মীরকে মামুন মাহমুদের অফিস ও তার ছবি দেখিয়ে দেয় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাগর সিদ্দিকী।

নাসিকের ২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী পল্টু কর্মকার সেদিন দুপুর থেকে ঘটনাস্থলের অদূরে মুক্তাঙ্গনে নিজের মাইক্রোবাসে অবস্থান করছিলেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর ইকবাল ও রিফাত গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযানের খবর টের পেয়ে আগেই সটকে পড়েন গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলে রিফাত।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, এটি লজ্জাজনক ঘটনা। যেহেতু মামলা হয়েছে ও তদন্তাধীন বিষয় তাই আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পল্টন থানা পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়াসউদ্দিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে এ সময় তাদেরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

Facebook Comments Box