বাগেরহাট সদর উপজেলায় সীমা আক্তার নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর তার স্বামী বলছেন এটি আত্মহত্যার ঘটনা। আর সীমার পরিবার বলছে হত্যাকাণ্ড। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৈয়দপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে রাতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সীমার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী সীমাকে হত্যা করেছে। সীমা আক্তার ফকিরহাট উপজেলার আকবর আলী সিকদারের মেয়ে। তিন বছর আগে সীমার সাথে বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার রিয়াজ খানের বিয়ে হয়।
নিহতের দুলাভাই হারুন উর রশীদ হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সীমার ওপরে তার স্বামী নির্যাতন করতো। যৌতুক দাবি করত। তার দাবি ও নির্যাতনে বাধ্য হয়ে কিছুদিন আগে দুই লাখ টাকা দিয়ে অটো রিকশা কিনে দেওয়া হয়। এরপরে কিছুদিন ভালো ছিল। পরে আবার নতুন করে টাকা দাবি করতে থাকে। টাকা দিতে না পারায় নির্যাতনে সীমাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে রিয়াজ খানের সাথে কথা বলার জন্য বারবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
চুলকাঠি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. অলিয়ার রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে।