স্যার না বলায় শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না বলায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনাটি ঘটে।

শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম দেখতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম। তার অভিযোগ, অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করাসহ তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম চলাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম। তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছিলেন। এ সময় সেখানে একই সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর টিকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ ফেরদৌস উচ্চবাচ্য করেন। একপর্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগমকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সামনে এমন আচরণে অচেতন হয়ে পড়েন ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে জ্ঞান ফিরলে স্বাভাবিক হয়ে তিনি উপজেলা পরিষদ মাঠ দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। এ সময় উপজেলার অন্য কর্মকর্তারা তাকে সেখান থেকে তার দফতরে নিয়ে যান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিকটবর্তী এক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, শত শত শিক্ষার্থী ছাড়া সেখান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তবে তাদের দুজনের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নিয়ে এমনটি হয়েছে কি না, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি শিক্ষার্থীদের টিকাগ্রহণ কার্যক্রম দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ বলে না বলায় তিনি আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. আসিফ ফেরদৌস বলেন, আমি তাকে উদ্দেশ করে কিছুই বলিনি। আমি শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার সঙ্গে টিকা গ্রহণ করতে বলেছি মাত্র। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে ‘স্যার’ না বলে ডাকা নিয়ে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়।

সবারবাংলা/এসআই

Facebook Comments Box