অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে লঞ্চ

৩৪৫ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও প্রায় ১ হাজার ৬শো’ যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এমভি ইমাম হাসান নামের একটি লঞ্চ। ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে কিছু দুর যাওয়ার পর পিছন দিক দিয়ে পানি প্রবেশ করায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লঞ্চটি।

শনিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পুনরায় লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে এসে ভিড়ে। এ ঘটনায় লঞ্চের মাষ্টার, সুকানি ও করনিককে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ।

এদিকে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এ ধরণের কাজ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নৌ পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন- লঞ্চের মাষ্টার কবির হোসেন, সুকানি মো. পারভেজ ও করনিক মো. আল-আমিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলাল হোসেন। চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বে থাকা একাধিক লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি জানান, রাত্রিকালীন যাত্রী নেওয়ার অনুমতি রয়েছে ৩৪৫ জন। কিন্তু লঞ্চটিতে প্রায় ১৬০০ যাত্রী উঠে। লঞ্চটি ঘাট থেকে ছেড়ে কিছুদূর গেলে যাত্রীদের মধ্যে ডুবে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের ছুটা-ছুটির কারণে লঞ্চটির পেছন দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক মাস্টার পুনরায় লঞ্চটি ঘাটে নিয়ে আসেন। দুর্ঘটনা কবলিত ওই লঞ্চের যাত্রীদেরকে সিডিউলে থাকা এমভি ঈগল ও মিতালী লঞ্চে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন প্রশাসনের সদস্যরা।

চাঁদপুর নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, ঘটনার পর ঘাটে এসে বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছি। ওই লঞ্চের যাত্রীদের ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। লঞ্চের ৩ স্টাফকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook Comments Box