ঈদুল ফিতরের ২৯ এপ্রিলের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি চলছে আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল)। তবে টিকিট প্রত্যাশীদের অনেকেই বলেছেন, টিকিট কাটার জন্য একদিন আগে থেকে কাউন্টারে লাইনে দাঁড়াতে হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও আমাদের স্রেফ একটা ট্রেনের টিকিটের জন্য ২৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
কমলাপুর রেলস্টেশনে পৃথকভাবে কথা হয় রফিকুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তারা রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা তিনজনই জানান, অনলাইনে টিকিট কারসাজি করে সেগুলো কালোবাজারে ছাড়া হয়। এর ফলে কাউন্টারে টিকিটের জন্য হাহাকার লেগেই আছে।
এ বছর ৫০ শতাংশ টিকিট দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে এবং ৫০ শতাংশ টিকিট দেওয়া কাউন্টারে হচ্ছে। টিকিট যা আছে যাত্রী তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি দাঁড়িয়ে আছে কাউন্টারে। তাই কেউ টিকিট পাচ্ছেন আবার অনেককে খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
আজও রাজধানীর পাঁচটি স্টেশন থেকে একযোগে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম একযোগে রাজধানীর পাঁচটি স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এগুলো হলো- কমলাপুরে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেন, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশনে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তঃনগর ট্রেন, মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের টিকেট ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন, ফুলবাড়ীয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
এসব স্টেশনের টিকিট বিক্রি সবগুলোতেই নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক কাউন্টারের ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
কতৃপক্ষ বলছে, দুই বছর পর এবার ঈদে ট্রেন চলবে পুরোদমেই চলবে। সবগুলো ট্রেনই চলবে।
২৭ এপ্রিলের টিকিট গতকাল শনিবার (২৩ এপ্রিল) দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল) দেওয়া হয়েছে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। এ ছাড়া, ২৯ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল)। ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ এপ্রিল ও ১ মের টিকিট ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে।
এদিকে, ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি আগামী ১ মে থেকে শুরু হবে বলে রেলওেয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।