বাস-ট্রেন-লঞ্চে মানুষের ঢল

(Last Updated On: )

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। দীর্ঘ ছুটির আমেজ নিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের ঢল চোখে পড়ার মতো। করোনার কারণে গত দুই বছর নিরানন্দে গেলেও এবার উৎসবমুখর ঈদুল ফিতর উদযাপনে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ। তবে মহাসড়কে যানজট না থাকা আর সময়মতো বাস পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

করোনা অতিমারি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দুই বছর পর বিধিনিষেধহীন হতে যাচ্ছে ঈদ। সেই সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ ছুটি। তাই আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। তবে শুক্রবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই। বেশ ভিড় থাকলেও দুর্ভোগ ছাড়াই বাস ও ট্রেনে যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে ঘরমুখো যাত্রীর ভিড় ছিল রাজধানীর গাবতলী, সায়দাবাদ, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। বাড়ি ফিরতে ভোর থেকেই বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনে জড়ো হন যাত্রীরা।

ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল হক জানান, আগের দুদিনের মতো শুক্রবারও কিছু ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন নির্ধারিত সময়ের পরে ছেড়েছে।

এদিকে, দুই বছর পর করোনার বিধিনিষেধমুক্ত রাজধানীবাসী সড়ক পথেও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে। ভোর থেকে বাস টার্মিনালে ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। মহাসড়কে যানজট না থাকায় মহাখালী, সায়দাবাদ ও গাবতলী টার্মিনাল থেকে সময়মতোই ছেড়েছে বাস।

এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার দেশের সড়ক-মহাসড়ক ভালো অবস্থায় রয়েছে।

অন্যদিকে, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও রয়েছে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সকালে বেশ কিছু লঞ্চ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। লঞ্চে মালামাল নিয়ে উঠানামার ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীদের কেউ কেউ।

Facebook Comments Box