অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা পুরোনো কথাবার্তাগুলো পালটে ফেলে নতুন কথাগুলো আমাদের জাতীয় জীবনে নিয়ে আসলাম। সংসদ থেকে শুরু করে সরকার পরিচালনা-অনেকগুলো বিষয়ে আমরা এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসলাম। এই পরিবর্তন এখন আমাদের সামনের দিকে নিয়ে যাবে। আমার সেই পথে অগ্রসর হবো। আজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতি আজ এক নবজন্মের সন্ধিক্ষণে। এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের কারণে, বিশেষ করে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের কারণে। তিনি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটিকে সেই অভ্যুত্থানের ‘দ্বিতীয় অংশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
আত্মত্যাগকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা বক্তব্যের শুরুতেই ড. ইউনূস অভ্যুত্থানের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন রক্ত দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করেন। একইসঙ্গে যারা আহত হয়েছেন বা কষ্টে আছেন, সেই বীর যোদ্ধাদের প্রতিও তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আজকের এই দিনটি সম্ভব হয়েছে এবং সারা জাতি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে জাতি পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় আলোচনা বাদ দিয়ে নতুন বিষয়গুলোকে জাতীয় জীবনে নিয়ে এসেছে। এই পরিবর্তনের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধানের পরিবর্তন এবং সরকার পরিচালনার (সরকার চালানো বিষয়) সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়।’ তিনি নিশ্চিত করেন, এ পরিবর্তনের ভেতরে অনেক নতুন বিষয় এসেছে।
















