নাদিম হোসেন খাঁন (ভোলা) চরফ্যাশন :
(Last Updated On: )ঘরে বসে কোনরকমের ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই হাতের সাহায্যে যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করাকে কুটির শিল্প বলা হয়।বর্তমানে কুটির শিল্পের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ফলে গ্রাম বাংলার অনেকেই এ কাজে ঝুঁকছে। এতে অনেকে সফলও হচ্ছে। তেমনিভাবে চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের নুরজাহান বেগম (৪৫) এ কাজ করে টাকা আয় করছেন। আর সেটা দিয়ে সংসারে কিছুটা হলেও কাজে লাগাচ্ছেন তিনি।
সবারবাংলাকে তিনি জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে নিজেরাই বাঁশের শলা বনিয়ে, সেই শলা দিয়ে মোরা তৈরি করেন। মোরা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বাঁশ, রগ, প্লাস্টিক ইত্যাদি কিনে নেন। নুরজাহান বেগম আরও জানান, দৈনিক চার থেকে পাঁচটি মোরা তৈরি করতে পারেন। সেই মোরা বাজারে বিক্রি করার পর অল্প কিছু টাকা তার হাতে থাকে। সেই টাকা তার সংসারে ব্যয় করেন।
নুরজাহান বেগমের স্বামী আঞ্চল হক (৬৮) জানান, তার একার রোজকারে সংসার চালাতে হিমসিম খেয়ে যান। এজন্যই তার স্ত্রীকে হাতের কাজ করতে উৎসাহ দেন। আঞ্চল হক মাছের ব্যবসা করেন। পাশাপাশি তার স্ত্রী’কে সাহায্য করতে, বাশেঁর শলা বনানো, তৈরিকৃত মোরা বাজারে বিক্রি কারা এবং পণ্য সামগ্রি বাজার থেকে এনে দেন।
পুজির অভাবে এবং তৈরির পন্য সরন্জামের দাম বৃ্দ্ধির ফলে এখন আর আগের মত লাভ হচ্ছেনা, তবে এই কুটির শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে দায়িত্ববানদের এগিয়ে আসতে হবে ।
সবারবাংলা/এসআই