চোরদের চোর বললে ভেচকি মারে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেছেন- দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, নাহলে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। বেতনের টাকায় না পুষালে চাকরি ছেড়ে ভিক্ষা করে খেতে হবে। দুর্নীতি করে খাওয়ার চেয়ে ভিক্ষা করে খাওয়ার মর্যাদা অনেক বেশি।

তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ আর চোরের দল এখন সমিতি বানিয়ে ফেলেছে। ওই সমিতি থেকে আমাদের ভেচকি মারে, হুমকি দেয়। আজকে চোরদের চোর বললে বান্দরের মতো ভেচকি মারে আমাদের।

রোববার দুপুরে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষায় কথা বলেন- আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে একই ভাষায় কথা বলেন। তার এ বক্তৃতার মাধ্যমেই আপনারা সবাই অনুভব করতে পেরেছেন যে ঘুসখোর ও দুর্নীতিবাজদের তিনি পছন্দ করেন না। আমরা যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সৈনিক বলে দাবি করি আমরা কি এটা বুকে ধারণ করি- বঙ্গবন্ধু যেভাবে দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করতেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলেন এ কথাগুলো কি আমরা প্রচার করি? করি না। আমাদের দায়িত্ব তার এ কথাগুলো সবার প্রচার করা। তার সব উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের সবার।

মির্জা আজম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন জীবিত ছিলেন তিনি ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিলে তখন কিন্তু ঘুসখোররা কোনো কথা বলার সাহস পেত না। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ঘুসখোরদের নিয়ে কথা বলেন তখন কিন্তু কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। কিন্তু আমরা যখন ঘুসখোরদের নিয়ে কথা বলি, যখন দুর্নীতিবাজদের নিয়ে কথা বলি তখন তারা ভেচকি মারে।

তিনি বলেন, আজকে ঘুসখোর, দুর্নীতিবাজরাই কিন্তু শক্তিশালী, অথচ তাদের সংখ্যা বেশি না। ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ তারা সবাই কিন্তু দুর্নীতির সাথে জড়িত না। এক ভাগ লোকও কিন্তু তারা না। ৯৯ ভাগ মানুষ কিন্তু ঘুস খায় না। এক ভাগ মানুষের দ্বারা আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এই দুর্নীতিবাজ, ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী প্রমুখ।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি মির্জা আজম এমপিসহ অতিথিরা। একই সঙ্গে অতিথিরা কলেজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, জামালপুর কর্নার, ছাত্রী মিলনায়তন ভবন এবং জামালপুরে প্রথম শহিদ মিনারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে মোনাজাতে অংশ নেন প্রধান অতিথিসহ অতিথিরা।

সবারবাংলা/এসআই

Facebook Comments Box