মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত। নিরাপদ নেভিগেশন সুবিধা এবং বিদেশি জাহাজের দীর্ঘ চ্যানেলে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য অতিতে একাধিকবার গবেষণা করা হয়েছে। নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের জন্য ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম “ভিটিএমআইএস” শিরোনামে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির কাজ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে ভিটিএমআইএস চালু আছে।
১৬ মার্চ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম “ভিটিএমআইএস” প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চলমান প্রকল্প ও সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে অচিরেই মোংলা বন্দর নৌ-বাণিজ্যের নেতৃত্ব দেবে।
মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন, বন্দর সীমানায় আগত সমুদ্রগামী জাহাজসমূহ মনিটরিং করাসহ দক্ষতার সাথে হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার মান উন্নীত করা, বন্দরে আগমন ও নির্গমনকারী সকল জাহাজের Safty & Security নিশ্চিতকরণ, চ্যানেলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, দূর্ঘটনাকবলিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা এবং দূর্ঘটানা পরবর্তীতে তদন্তকরণ ও তদানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাহাজ সমূহের গতিবিধি মনিটরিং করার লক্ষ্যে IALA MIU Convention এর আলোকে Standard (Vol.128) অনুযায়ী ISPS (International Ship Port Security) কোড Implment করা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবাড়িয়া এ্যাংকরেজে ১০ মিটারের বেশি ড্রাফ্টযুক্ত জাহাজগুলি পরিচালনা করছে। গত কয়েক বছরে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। চট্রগ্রাম বন্দরে প্রচন্ড যানজটের কারণে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা সেতু, খুলনা-মোংলা রেললাইন, রামপাল বিদ্রুৎকেন্দ্র ও খান জাহান আলী বিমান বন্দর চালু হলেই মোংলা বন্দরে আমদান-রপ্তানি আরো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।