ভারতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার কেরালা, চণ্ডীগড় ও অন্ধ্রপ্রদেশে প্রথম বারের মতো এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, রবিবার শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে কেরালায় ফিরেছিলেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
চণ্ডীগড় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে ২০ বছরের এক ব্যক্তির ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর তিনি ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। ডিসেম্বর মাসে করোনা পরীক্ষা করান এবং জানতে পারেন তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফেরার ইতিহাস থাকায় তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংর জন্য পাঠানো হয়। রবিবার জানা যায়, ওই ব্যক্তিও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তি পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। ইতালিতে ফাইজার ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ নিয়েছিলেন তিনি। ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার পর হোম আইসোলেশনে ছিলেন। তার পরিবারের অন্যান্যদের নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে কোভিড টিকার দুইটি ডোজ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী। ১০ ডিসেম্বর এই সতর্কতার কথা জানিয়েছেন তারা। তাদের প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ওমিক্রন ও ডেল্টার ক্ষেত্রে সংক্রমণ থামাতে টিকা কম কার্যকর। তবে টিকার একটি তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে, প্রায় ৭৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয়।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা ৫৮১ ওমিক্রন ও কয়েক হাজার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তের তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকর তা জানতেই এই পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতা নাটকীয়ভাবে কমেছে এবং ফাইজারের দুই ডোজের কার্যকারিতাও হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। তবে তৃতীয় ডোজ করোনা উপসর্গ ঠেকাতে সুরক্ষার মাত্রা যথাক্রমে ৭০ ও ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সবারবাংলা/এসআই