৩৭ লাশ বুঝে নিলেন ডিসি

(Last Updated On: )

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লেগে ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৭টি লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ভিতরে ৫টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। চারটি তাদের স্বজনদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বরগুনার অভিযান-১০ লঞ্চটি গত বৃহস্পতিবার (সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। রাত সাড়ে ৩টায় ঝালকাঠি পৌঁছলে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটিতে আগুন লেগে যায়। ঢাকা -থেকে বরগুনাগামী এ লঞ্চটি প্রথমে চাঁদপুর পরে বরিশাল ও দপদপিয়া ঘাটে যাত্রী নামায়। দপদপিয়া থেকে লঞ্চটি ছেড়ে বেতাগীর উদ্দেশে রওয়ানা হয়। বেতাগীর পরে আরও পাঁচটি ঘাট টাচ করে এই যাত্রার শেষ গন্তব্য বরগুনা।

বেতাগী যাওয়ার আগে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে রাত ৩টায় চলমান লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। শীতের রাতে লঞ্চে আগুন আর নিচে সুগন্ধা নদীর ঠাণ্ডা পানি যাত্রীদের মনে ‘অনিবার্য মৃত্যুর’ ভীতি সঞ্চার করেছে মুহূর্তেই। তবে আগুনে নির্ঘাত মৃত্যুর চেয়ে প্রাণ বাঁচাতে ঠাণ্ডা পানিকে বেছে নেন যাত্রীরা।

এ বিষয়ে অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হাম জালালের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৭টি লাশ আমরা বুঝে পেয়েছি। এর ভিতরে পাঁচটি লাশ শনাক্ত করা হয়; চারটি তাদের স্বজনদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি বাকিগুলোও শনাক্ত করা যাবে।

সবারবাংলা/এসআই

Facebook Comments Box