রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে আবারও রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত থেকেই তার শারীরিক অবনতি হয়েছে।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটার নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। কয়েক দিন ধরেই কমে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। অন্ত্রে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্তক্ষরণের উপক্রম দেখা দিলেই সেলাইনের সঙ্গে ইনজেকশন দিয়ে থামানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে তিনবেলা এন্টিবায়োক ঔষুধ চলছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর রবিবার সিসিইউ থেকে ৭২০৫ নম্বর কেবিনে নেয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসকরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার ভালো নেই। তার শরীরের অনেকগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও কোনোটারই ফলাফল ইতিবাচক আসেনি। প্রতিদিনই দুই বেলায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসছেন। স্বাস্থ্য পর্যালোচনা করে প্রতিদিনই ওষুধ দিচ্ছেন। তবে চলমান এই চিকিৎসায় তার সুস্থ্য হয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনাও নেই। বরং যে কোনো সময় অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটারগু ওপরে উঠানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কয়েক দিন ধরেই কমে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত কিংবা ওষুধ দিয়ে তার মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত রক্তও আর দেয়া যাচ্ছে না তাকে। এতে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান চিকিৎসায় তাঁর সুস্থ্য হয়ে ওঠার কোনো সুযোগ নেই। বরং তাঁর শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে তাঁর স্বাস্থ্য ঝুঁকিটা ততই বেড়ে যাচ্ছে। এখন তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেট কমে গেছে, তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা সময়োপযোগী সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা না পেলে তিনি এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন, যখন কোনও চিকিৎসা আর কাজে আসবে না।
সবারবাংলা/এসআই