চরফ্যাশনে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসুতিও নবজাতকের মৃত্যু

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি

চরফ্যাসনে পল্লী চিকিৎসকের অপ-চিকিৎসায় ফেরদাউস বেগম(২৫) নামের এক প্রসুতিও তার গর্ভের নবজাতকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত দুইটায় চরফ্যাসন হাসপাতালে থেকে ভোলার নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গৃহবধুর ময়নাতদন্তের ভয়ে হত্যার প্রতিবাদ বা বিচার চাইতে নারাজ তার স্বামী ও বাবার পরিবার। অভিযুক্ত পল্লী চিকিসৎক মামুন প্রভাবশালী হওয়ায় রাতের আধারে রফদায় ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের সুত্রে জানাগেছে।
নিহত গৃহবধু হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রুবেলের স্ত্রী।

গৃহবধুর প্রতিবেশীরা জানান,নিহত ফেরদাউস বেগমের সাথে ওই গ্রামের রুবেলের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে প্রথম সন্তানের জম্ম হয়। ওই গৃহবধু ফের সন্তান সম্ভববা হলে চেয়াম্যান বাজারের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মামুনের চিবিৎসাধীন ছিলেন ওই গৃহবধু।

শুক্রবার গৃহবধুর হালকা প্রসব বেদনা শুরু হলে হলে পল্লী চিকিৎসক মামুনের শরন্নাপন্ন হন গৃহবধুর স্বামীর পরিবার। কিন্তু গ্রাম্য চিকিৎসক মামুন তাকে চরফ্যাসন হাসপাতালে না পাঠিয়ে নরমাল ডেলেভারীর চেষ্টা করেন। রাতে গৃহবধুর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক মামুন তাকে নিয়ে চরফ্যাসনের সেবা ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে ছুটে আসেন।সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হলে সেবার মেডিকেল সার্ভিসেস এন্ড ডায়গনিস্টিক কতৃপক্ষ তাকে সরকারী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। গভীর রাতে চরফ্যাসন হাসাপাতলে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে রেফার করেন। বরিশাল নেয়ার পথে ভোলা সদরের কাছাকাছি গেলে প্রসুতি ও তার তার গর্ভের নবজাতকের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের ভয়ে ওই গৃহবধুর স্বামীর পরিবার হত্যার প্রতিবাদ বা বিচার চাইতে নারাজ। পল্লী চিকিৎসক মামুন প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগি পরিবার খুলতে রাজি হননি। নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, ইতিপূর্বে ওই পল্লী চিকিৎসক মামুনের ভুল চিকিৎসায় আরো প্রসুতি অনেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় ভূক্তভোগী পরিবার প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। তার অপ চিকিৎসায় প্রসুতি নারী ফেরদাউস ও তার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মামুন আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য জানাযায়নি। চরফ্যাসন হাসপাতালের পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শোভন বসাক জানান, একজ পল্লী চিকিৎসক কখনও প্রসুতির চিকিৎসা বা ডেলেভারীর কাজ করতে পারেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box